জানা গেছে, গত শনিবার বিকালে নগরীর সালনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাজীপুর প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের পুত্র এম মঞ্জুরুল করীম রনি। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি শনিবার বিকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে সালনা স্কুল মাঠে অবতরণ করেন। এ সময় তাকে দলীয় নেতাকর্মীরা অভ্যর্থনা দেন এবং তার সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
পরে ওই ছবি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। আবার অনুষ্ঠান শেষে হেলিকপ্টারে তিনি গাজীপুরে আরও কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। হেলিকপ্টারে চড়ে এলাকায় এমন মহড়ার ঘটনাটি পক্ষ-বিপক্ষ ও সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম হয়ে উঠছে। পিতা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের মৃত্যুর পর ব্যাংক খেলাপি ঋণের ভারে রনি দেওয়ানি হয়ে পড়েন। ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে সহায়-সম্পদ বিক্রি করে দেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টের গণবিপ্লবে ভাগ্য খুলে যায়। অল্প দিনের ব্যবধানে তার চাল-চলনে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়। চার শত কোটি টকার ব্যাংক লোনের মধ্যে ইতিমধ্যেই একশত কোটি টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন বলেও তার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে তিনি এখনো ওই ঋণের কোনো টাকা পরিশোধ করতে পারেননি।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতা যুগান্তরকে বলেন, দলের ভাপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাদের বার্তা দিচ্ছেন মানুষের আস্থা অর্জনের ‘মুই কী হনুরে’ না ভাবতে। এমনকি তারেক রহমান নিজের জন্মদিন পালনের আনন্দ করতেও নিষেধ করেন, গাড়ি বহর, হোন্ডা বহর নিষেধ করেছেন, তাকে দেশনায়ক বলতে মানা করেছেন। আর গাজীপুর মহানগরের বিএনপি নেতা বাহাদুরি দেখাচ্ছেন। মনে হয় তিনি ক্ষমতার উচ্চ শিখরে বসে গেছেন।